শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের কক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই চিকিৎসকের নাম সুলতানা পারভীন (৩৭)। তিনি মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহীর পোষ্টাল অফিসের গলি, বাবার নাম আলা উদ্দিন আল আজাদ। সুলতানা পারভীন পরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রেবাবার সকালে ডাক্তার সুলতানা পারভীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাননি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হকসহ কয়েকজন চিকিৎসক সন্ধ্যায় তার কোয়ার্টারে যান। তারা কক্ষের দরজায় অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে কক্ষের দরজা ভেঙে সুলতানা পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘সুলতানা পারভীন কোয়ার্টারের ওই কক্ষে একাই থাকতেন। শনিবার রাত নয়টার দিকে হাসপাতালের গাড়িতে করে তাকে কোয়ার্টারে নামিয়ে দিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে আর কেউ দেখেননি।’
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে ওই চিকিৎসকের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় পায়। তার বিছানায় বালিসের নিচ থেকে ৫টি প্যাথেটিনের ভাঙা অ্যামপুল ও একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডায়েরির লেখা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ছাব্বির নামে একজনের সঙ্গে তার প্রেম ছিল। ছাব্বির অন্যত্র বিয়ে করার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে- প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’